অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী)
চ্যাপ্টার 17
ভারতের অর্থনীতি - অন্যান্য অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা
প্রশ্ন ১: দুটি দেশের অর্থনীতির তুলনার ভিত্তি হিসাবে যে-কোনো দুটি বিষয়ের উল্লেখ করো।
উত্তর: দুটি দেশের অর্থনীতির তুলনার ভিত্তি হিসাবে অনেক বিষয়ই নেওয়া যেতে পারে। তাদের মধ্যে দুটি হল:
ক. মাথাপিছু আয় এবং
খ. মানব উন্নয়ন সূচক
উত্তর: দুটি দেশের অর্থনীতির তুলনার ভিত্তি হিসাবে অনেক বিষয়ই নেওয়া যেতে পারে। তাদের মধ্যে দুটি হল:
ক. মাথাপিছু আয় এবং
খ. মানব উন্নয়ন সূচক
প্রশ্ন ২: ভারতের মূল শিল্পগুলির নাম লিখো।
উত্তর: ভারতের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
মোটরগাড়ি, বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জাম, বস্ত্রশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত এবং ইস্পাত জাতীয় ধাতু, রাসায়নিক ইত্যাদি।
উত্তর: ভারতের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
মোটরগাড়ি, বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জাম, বস্ত্রশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত এবং ইস্পাত জাতীয় ধাতু, রাসায়নিক ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩: ভারতের একটি ভারী শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: লৌহ ও ইস্পাত
উত্তর: লৌহ ও ইস্পাত
প্রশ্ন ৪: পাকিস্তানের মূল শিল্পগুলির নাম লিখো।
উত্তর: পাকিস্তানের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
বস্ত্রশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিটিক্যালস, নির্মাণ সংক্রান্ত উপাদান ইত্যাদি।
উত্তর: পাকিস্তানের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
বস্ত্রশিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফার্মাসিটিক্যালস, নির্মাণ সংক্রান্ত উপাদান ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৫: ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।
উত্তর: ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য হল:
ক. উভয় দেশই মিশ্র অর্থনৈতিক কাঠামো গ্রহণ করেছে;
খ. উভয় দেশই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং পরে উদারীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে
উত্তর: ভারত ও পাকিস্তানের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য হল:
ক. উভয় দেশই মিশ্র অর্থনৈতিক কাঠামো গ্রহণ করেছে;
খ. উভয় দেশই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং পরে উদারীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে
প্রশ্ন ৬: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জনঘনত্ব বেশি কোন দেশের?
উত্তর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভারতের জনঘনত্ব বেশি। World Bank Data, 2019 অনুযায়ী 2018-19 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 455 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে পাকিস্তানের জনসংখ্যা 275 জন।
উত্তর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভারতের জনঘনত্ব বেশি। World Bank Data, 2019 অনুযায়ী 2018-19 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 455 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে পাকিস্তানের জনসংখ্যা 275 জন।
প্রশ্ন ৭: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে ভারতের অবস্থান পাকিস্তান অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 আর পাকিস্তানের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.557 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই ভারতের অবস্থা পাকিস্তানের তুলনায় ভালো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে ভারতের অবস্থান পাকিস্তান অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 আর পাকিস্তানের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.557 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই ভারতের অবস্থা পাকিস্তানের তুলনায় ভালো।
প্রশ্ন ৮: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মাথাপিছু আয় নিয়ে তুলনা করো।
উত্তর: 2009 সালে ভারতের মাথা পিছু আয় ছিল 3,260 মার্কিন ডলার আর পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ঐ সময়ে ছিল 2,540 মার্কিন ডলার।
উত্তর: 2009 সালে ভারতের মাথা পিছু আয় ছিল 3,260 মার্কিন ডলার আর পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ঐ সময়ে ছিল 2,540 মার্কিন ডলার।
প্রশ্ন ৯: দারিদ্র্য দূরীকরণের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।
উত্তর: প্রতিদিন মাথাপিছু এক ডলার ভোগব্যয় এই দরিদ্ররেখা ধরে 2003 সালে ভারতে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল 34.70% জনসাধারণ। অন্যদিকে পাকিস্তানের জনসংখ্যার 13.40% ঐ বছর দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল। কাজেই দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত অপেক্ষা পাকিস্তান বেশি সফল।
উত্তর: প্রতিদিন মাথাপিছু এক ডলার ভোগব্যয় এই দরিদ্ররেখা ধরে 2003 সালে ভারতে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল 34.70% জনসাধারণ। অন্যদিকে পাকিস্তানের জনসংখ্যার 13.40% ঐ বছর দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল। কাজেই দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত অপেক্ষা পাকিস্তান বেশি সফল।
প্রশ্ন ১০: ভারত ও পাকিস্তানে কর্মরত জনসংখ্যার ক্ষেত্রগত বণ্টনের তুলনা করো।
উত্তর: কর্মরত জনসংখ্যার ক্ষেত্রগত বণ্টনের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করলে দেখা যায় উভয় দেশের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। উভয় দেশেই 2004 সালে 44-50% জনসংখ্যা কৃষিতে, 20-21% জনসংখ্যা শিল্পে এবং 30-35% জনসংখ্যা পরিসেবা ক্ষেত্রে নিযুক্ত ছিল।
উত্তর: কর্মরত জনসংখ্যার ক্ষেত্রগত বণ্টনের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করলে দেখা যায় উভয় দেশের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। উভয় দেশেই 2004 সালে 44-50% জনসংখ্যা কৃষিতে, 20-21% জনসংখ্যা শিল্পে এবং 30-35% জনসংখ্যা পরিসেবা ক্ষেত্রে নিযুক্ত ছিল।
প্রশ্ন ১১: নগরায়ণের হারের দিক থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনা করো।
উত্তর: নগরায়ণের হার ভারত অপেক্ষা পাকিস্তানে বেশি। 2001 সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতে মোট জনসংখ্যার 27.80% শহরে বাস করে, কিন্তু পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার 33.40% শহরে বাস করে।
উত্তর: নগরায়ণের হার ভারত অপেক্ষা পাকিস্তানে বেশি। 2001 সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতে মোট জনসংখ্যার 27.80% শহরে বাস করে, কিন্তু পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যার 33.40% শহরে বাস করে।
প্রশ্ন ১২: জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বণ্টনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে কি?
উত্তর: জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বণ্টনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। 2000 থেকে 2008 সালের মধ্যে উভয় দেশেরই জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত গঠনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি।
উত্তর: জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত বণ্টনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। 2000 থেকে 2008 সালের মধ্যে উভয় দেশেরই জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রগত গঠনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেনি।
প্রশ্ন ১৩: সাক্ষরতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করো।
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
পাকিস্তানের মোট সাক্ষরতার হার হল 54.90%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 68.60% এবং মহিলার শতকরা হার হল 30.30% [পাকিস্তানের 2009 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
পাকিস্তানের মোট সাক্ষরতার হার হল 54.90%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 68.60% এবং মহিলার শতকরা হার হল 30.30% [পাকিস্তানের 2009 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
প্রশ্ন ১৪: চিনে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুরু হয় কত সাল থেকে?
উত্তর: 1949 এর বিপ্লবের অব্যবহতি পরই চিনে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা হয়।
উত্তর: 1949 এর বিপ্লবের অব্যবহতি পরই চিনে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা হয়।
প্রশ্ন ১৫: চিনের অর্থনীতিতে মাও-এর যুগ বলা হয় কোন সময়কালকে?
উত্তর: 1949 থেকে 1976 সাল পর্যন্ত সময়কালকে চিনের অর্থনীতিতে মাও-এর যুগ বলা হয়।
উত্তর: 1949 থেকে 1976 সাল পর্যন্ত সময়কালকে চিনের অর্থনীতিতে মাও-এর যুগ বলা হয়।
প্রশ্ন ১৬: 1958 সালে গৃহীত চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনা কী নামে খ্যাত?
উত্তর: 1958 সালে গৃহীত চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে "বিরাট লাফ দিয়ে এগোনো" [Great Leap Forward] বলা হয়। এর মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জর দেওয়া হয়।
উত্তর: 1958 সালে গৃহীত চিনের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে "বিরাট লাফ দিয়ে এগোনো" [Great Leap Forward] বলা হয়। এর মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জর দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ১৭: চিনে Great Leap Forward নীতি কত সালে গৃহীত হয়?
অথবা,
Great Leap Forward Campaign কাকে বলে?
উত্তর: মাও যুগে 1958 সালে চিনে Great Leap Forward নীতি গ্রহণ করা হয় যার মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয়।
অথবা,
Great Leap Forward Campaign কাকে বলে?
উত্তর: মাও যুগে 1958 সালে চিনে Great Leap Forward নীতি গ্রহণ করা হয় যার মাধ্যমে শিল্প বিকাশের উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয়।
প্রশ্ন ১৮: মাও-এর যুগে চিনের অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর: মাও যুগে চিনের অর্থনীতি স্বনির্ভর হয়ে ওঠে এবং বিদেশি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল নিম্নতম। মাও যুগে অর্থনৈতিক বিকাশের হার ছিল কম। কৃষিক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল। জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানে খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
উত্তর: মাও যুগে চিনের অর্থনীতি স্বনির্ভর হয়ে ওঠে এবং বিদেশি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল নিম্নতম। মাও যুগে অর্থনৈতিক বিকাশের হার ছিল কম। কৃষিক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা গিয়েছিল। জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানে খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
প্রশ্ন ১৯: চিনে সংস্কার কর্মসূচী কখন থেকে চালু হয়েছে?
উত্তর: 1976 সালে মাও সে তুঙ-এর মৃত্যুর পর ডেঙ শিয়াও পিং ক্ষমতায় আসেন। তখন থেকে চিনা অর্থনীতিতে সংস্কার কর্মসূচী গৃহীত হয়।
প্রশ্ন ২০: চিনের মূল শিল্পগুলির নাম লিখো।
উত্তর: চিনের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
সিমেন্ট, খেলনা এবং বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, পেট্রোলিয়াম, বস্ত্র, কয়লা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২১: ভারত ও চিনের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য উল্লেখ করো।
উত্তর: ভারত ও চিনের অর্থনীতির মধ্যে দুটি সাদৃশ্য হল:
ক. উভয় অর্থনীতিতেই জনসংখ্যার পরিমাণ খুব বেশি। ফলে একদিকে যেমন জনসংখ্যার চাপ রয়েছে, অন্যদিকে তেমনি অভ্যন্তরীণ বাজার খুব বিস্তৃত।
খ. উভয় দেশই অথনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করে প্রায় একই সময়।
প্রশ্ন ২২: ভারত ও চিনের মধ্যে জনঘনত্ব বেশি কোন দেশের?
উত্তর: ভারত ও চিনের মধ্যে ভারতের জনঘনত্ব বেশি। World Bank Data, 2019 অনুযায়ী 2018-19 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 455 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে চিনের জনসংখ্যা 148 জন।
প্রশ্ন ২৩: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে ভারত ও চিনের তুলনা করো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে চিনের অবস্থান ভারত অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী চিনের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.761 আর ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই চিনের অবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের নিরিখে চিনের অবস্থান ভারত অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী চিনের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.761 আর ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই চিনের অবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো।
প্রশ্ন ২৪: ভারত ও চিনের মধ্যে মাথাপিছু আয় কর বেশি?
উত্তর: 2009 সালের হিসাব অনুযায়ী, চিনের মাথাপিছু আয় (6,770 মার্কিন ডলার) ভারতের মাথাপিছু আয় (3,260 মার্কিন ডলার) অপেক্ষা বেশি।
উত্তর: 2009 সালের হিসাব অনুযায়ী, চিনের মাথাপিছু আয় (6,770 মার্কিন ডলার) ভারতের মাথাপিছু আয় (3,260 মার্কিন ডলার) অপেক্ষা বেশি।
প্রশ্ন ২৫: দারিদ্র্য দূরীকরণের দিক থেকে ভারত ও চিনের তুলনা করো।
উত্তর: প্রতিদিন মাথাপিছু এক ডলার ভোগব্যয় এই দরিদ্ররেখা ধরে 2003 সালে ভারতে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল 34.70% জনসাধারণ। অন্যদিকে চিনের জনসংখ্যার 16.60% ঐ বছর দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল। কাজেই দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত অপেক্ষা চিন বেশি সফল।
প্রশ্ন ২৬: জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের ভিত্তিতে ভারত ও চিনের অর্থনীতির মধ্যে তুলনা করো।
উত্তর: চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভারতের অপেক্ষা কম। 2001 সালে চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল 1.0% আর ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক 1.7% ।
উত্তর: প্রতিদিন মাথাপিছু এক ডলার ভোগব্যয় এই দরিদ্ররেখা ধরে 2003 সালে ভারতে দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল 34.70% জনসাধারণ। অন্যদিকে চিনের জনসংখ্যার 16.60% ঐ বছর দারিদ্র্য সীমার নীচে অবস্থিত ছিল। কাজেই দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারত অপেক্ষা চিন বেশি সফল।
প্রশ্ন ২৬: জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের ভিত্তিতে ভারত ও চিনের অর্থনীতির মধ্যে তুলনা করো।
উত্তর: চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভারতের অপেক্ষা কম। 2001 সালে চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল 1.0% আর ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক 1.7% ।
প্রশ্ন ২৭: সাক্ষরতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে চিনের তুলনা করো।
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
চিনের মোট সাক্ষরতার হার হল 92.20%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 96% এবং মহিলার শতকরা হার হল 88.50% [চিনের 2007 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
চিনের মোট সাক্ষরতার হার হল 92.20%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 96% এবং মহিলার শতকরা হার হল 88.50% [চিনের 2007 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
প্রশ্ন ২৮: জাপানে আধুনিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হয় কোন সালে?
উত্তর: জাপানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় 1868 সালে মেইজি শাসনব্যবস্থা কায়েম হওয়ার সময়।
উত্তর: জাপানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় 1868 সালে মেইজি শাসনব্যবস্থা কায়েম হওয়ার সময়।
প্রশ্ন ২৯: জাপানের মূল শিল্পগুলির নাম লিখো।
উত্তর: জাপানের মূল শিল্পগুলির নাম হল:
মোটরগাড়ি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক, বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩০: ভারত ও জাপানের মধ্যে জনঘনত্ব বেশি কোন দেশের?
উত্তর: ভারত ও জাপানের মধ্যে ভারতের জনঘনত্ব বেশি। World Bank Data, 2019 অনুযায়ী 2018-19 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 455 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জাপানের জনসংখ্যা 347 জন।
উত্তর: ভারত ও জাপানের মধ্যে ভারতের জনঘনত্ব বেশি। World Bank Data, 2019 অনুযায়ী 2018-19 সালে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ভারতের জনসংখ্যা 455 আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জাপানের জনসংখ্যা 347 জন।
প্রশ্ন ৩১: মানব উন্নয়নের সূচকের দিক থেকে ভারত ও জাপানের তুলনা করো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের দিক থেকে জাপানের অবস্থান ভারত অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী জাপানের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.919 আর ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই জাপানের অবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো।
উত্তর: মানব উন্নয়নের সূচকের দিক থেকে জাপানের অবস্থান ভারত অপেক্ষা ভালো। United Nations-এর Annual Human Development Report, 2020 অনুযায়ী জাপানের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.919 আর ভারতের মানব উন্নয়ন সূচক ছিল 0.645 ।
গড় আয়ু, বয়স্ক সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় HDI-এর এই তিনটি নির্দেশকের ভিত্তিতেই জাপানের অবস্থা ভারতের তুলনায় ভালো।
প্রশ্ন ৩২: মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে ভারত ও জাপানের অর্থনীতির তুলনা করো।
অথবা,
ভারত ও জাপানের মধ্যে মাথাপিছু আয় কর বেশি?
উত্তর: 2010 সালে ভারতের মাথা পিছু আয় ছিল 3,260 মার্কিন ডলার আর জাপানের মাথাপিছু আয় ঐ সময়ে ছিল 30,965 মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতের মাথাপিছু আয়ের প্রায় দশ গুণ।
মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিচার করলে জাপানের মাথাপিছু আয় ভারতের মাথাপিছু আয় অপেক্ষা অনেক বেশি।
অথবা,
ভারত ও জাপানের মধ্যে মাথাপিছু আয় কর বেশি?
উত্তর: 2010 সালে ভারতের মাথা পিছু আয় ছিল 3,260 মার্কিন ডলার আর জাপানের মাথাপিছু আয় ঐ সময়ে ছিল 30,965 মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতের মাথাপিছু আয়ের প্রায় দশ গুণ।
মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিচার করলে জাপানের মাথাপিছু আয় ভারতের মাথাপিছু আয় অপেক্ষা অনেক বেশি।
প্রশ্ন ৩৩: জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভারত ও জাপানের অর্থনীতির তুলনা করো।
উত্তর: জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভারতের অপেক্ষা কম। 2010 সালে জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল 0.0 অর্থাৎ জনসংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। অন্যদিকে 2010 সালে ভারতে জনসংখ্যা বেড়েছিল বার্ষিক 1.40% হারে। জাপানের গড় আয়ু ভারতের গড় আয়ু অপেক্ষা বেশি।
উত্তর: জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভারতের অপেক্ষা কম। 2010 সালে জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল 0.0 অর্থাৎ জনসংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। অন্যদিকে 2010 সালে ভারতে জনসংখ্যা বেড়েছিল বার্ষিক 1.40% হারে। জাপানের গড় আয়ু ভারতের গড় আয়ু অপেক্ষা বেশি।
প্রশ্ন ৩৪: সাক্ষরতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে জাপানের তুলনা করো।
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
জাপানের মোট সাক্ষরতার হার হল 99%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 99% এবং মহিলার শতকরা হার হল 99% [জাপানের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
উত্তর: ভারতে মোট সাক্ষরতার হার হল 74.04%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 82.14% এবং মহিলার শতকরা হার হল 65.46% [ভারতের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]
জাপানের মোট সাক্ষরতার হার হল 99%, যার মধ্যে পুরুষের শতকরা হার হল 99% এবং মহিলার শতকরা হার হল 99% [জাপানের 2011 সালের সেনসাস অনুযায়ী]