অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী)
চ্যাপ্টার 2
অর্থনৈতিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
প্রশ্ন ১: অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে দেশের অর্থনীতির উৎপাদন ক্ষমতা ও আয় দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পায়, তাকে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বলে।
উত্তর: যে পদ্ধতিতে দেশের অর্থনীতির উৎপাদন ক্ষমতা ও আয় দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পায়, তাকে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বলে।
প্রশ্ন ২: অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কাকে বলে?
অথবা,
অর্থব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্ম যে সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক নিয়মনীতি মেনে চলে সেই নিয়মগুলিকেই সংক্ষেপে ঐ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়।
অথবা,
অর্থব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্ম যে সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক নিয়মনীতি মেনে চলে সেই নিয়মগুলিকেই সংক্ষেপে ঐ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়।
প্রশ্ন ৩: কোনো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যা কয়টি ও কী কী?
উত্তর: পল স্যামুয়েলসন [Paul Samuelson] এর মতে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কাজ হল তিনটি মূল প্রশ্নের সমাধান করা। সেই তিনটি প্রশ্ন হল:
ক. কোন কোন দ্রব্যসামগ্রী কত পরিমাণে উৎপাদন করা হবে?
খ. কীভাবে দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হবে?
গ. কাদের জন্য দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হবে?
এই তিনটি সমস্যাই কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল সমস্যা নামে পরিচিত।
উত্তর: পল স্যামুয়েলসন [Paul Samuelson] এর মতে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কাজ হল তিনটি মূল প্রশ্নের সমাধান করা। সেই তিনটি প্রশ্ন হল:
ক. কোন কোন দ্রব্যসামগ্রী কত পরিমাণে উৎপাদন করা হবে?
খ. কীভাবে দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হবে?
গ. কাদের জন্য দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হবে?
এই তিনটি সমস্যাই কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল সমস্যা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ৪: কোনো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলির উদ্ভবের কারণ কী?
উত্তর: কোনো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যাগুলির উদ্ভবের কারণ হল সম্পদের অপ্রাচুর্যতা।
প্রশ্ন ৫: অর্থনীতির ছয়টি সামাজিক লক্ষ্য কী কী?
উত্তর: কোনো অর্থনীতির তিনটি মৌলিক সমস্যা সমাধান করার সময় ছয়টি সামাজিক লক্ষ্য অর্জনের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়। সেই ছয়টি সামাজিক লক্ষ্য হল:
ক. দক্ষতা,
খ. সাম্য
গ. স্বাধীনতা,
ঘ. বিকাশ,
ঙ. সুরক্ষা এবং
চ. স্থায়িত্ব ।
উত্তর: কোনো অর্থনীতির তিনটি মৌলিক সমস্যা সমাধান করার সময় ছয়টি সামাজিক লক্ষ্য অর্জনের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়। সেই ছয়টি সামাজিক লক্ষ্য হল:
ক. দক্ষতা,
খ. সাম্য
গ. স্বাধীনতা,
ঘ. বিকাশ,
ঙ. সুরক্ষা এবং
চ. স্থায়িত্ব ।
প্রশ্ন ৬: দক্ষতা কাকে বলে?
উত্তর: উৎপাদনের উপাদানগুলির উৎপাদন করার ক্ষমতাকে দক্ষতা বলে। যেমন - শ্রমিকদের উৎপাদন ক্ষমতা।
প্রশ্ন ৭: অর্থনৈতিক নিরাপত্তা কাকে বলে?
উত্তর: অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলতে সেই সমস্ত জিনিসকে বজায় রাখার কথা বোঝায় যেগুলি দীর্ঘকালের ভিত্তিতে শ্রমিক ও মূলধনের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে।
প্রশ্ন ৮: স্থিরতা বা স্থায়িত্ব কাকে বলে?
উত্তর: ভারসাম্য অবস্থায় পরিবর্তনের কোনো ঝোঁক বা প্রবণতা না থাকাকেই ভারসাম্যের স্থিরতা বা স্থায়িত্ব বলে।
উত্তর: ভারসাম্য অবস্থায় পরিবর্তনের কোনো ঝোঁক বা প্রবণতা না থাকাকেই ভারসাম্যের স্থিরতা বা স্থায়িত্ব বলে।
প্রশ্ন ৯: মালিকানা অনুযায়ী সম্পত্তিকে কয়ভাগে ভাগ করা যেতে পরে ও কী কী?
উত্তর: মালিকানা অনুযায়ী সম্পত্তিকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পরে -- ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সাধারণ সম্পত্তি।
উত্তর: মালিকানা অনুযায়ী সম্পত্তিকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পরে -- ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সাধারণ সম্পত্তি।
প্রশ্ন ১০: ব্যক্তিগত সম্পত্তি কাকে বলে?
উত্তর: যে সম্পত্তির মালিক কোনো একজন ব্যক্তি বা কয়কজন ব্যক্তি সমষ্টিগতভাবে হয়, তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে।
উত্তর: যে সম্পত্তির মালিক কোনো একজন ব্যক্তি বা কয়কজন ব্যক্তি সমষ্টিগতভাবে হয়, তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে।
প্রশ্ন ১১: সাধারণ সম্পত্তি কাকে বলে?
অথবা,
যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি কাকে বলে?
অথবা,
সাধারণ সম্পত্তি সম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে সম্পত্তির মালিক দেশের সকল ব্যক্তি যৌথভাবে হয় তাকে সাধারণ সম্পত্তি বলে। যেহেতু সাধারণ সম্পত্তির মালিকানা সমাজের সকল ব্যক্তির যৌথভাবে থাকে তাই একে যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তিও বলে।
যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি কাকে বলে?
অথবা,
সাধারণ সম্পত্তি সম্পদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে সম্পত্তির মালিক দেশের সকল ব্যক্তি যৌথভাবে হয় তাকে সাধারণ সম্পত্তি বলে। যেহেতু সাধারণ সম্পত্তির মালিকানা সমাজের সকল ব্যক্তির যৌথভাবে থাকে তাই একে যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তিও বলে।
প্রশ্ন ১২: সাধারণ সম্পত্তির বিয়োগান্তক পরিণতির অর্থ কি?
উত্তর: কোনো কোনো অর্থনীতিবিদের মতে, যৌথ মালিকানাধীন উপকরণের ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যবহার না হয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। একে সাধারণ সম্পত্তির বিয়োগান্তক পরিণতি (Tragedy of Commons) বলা হয়।
প্রশ্ন ১৩: বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কী কী?
উত্তর: বিভিন্ন দেশে সাধারণত তিন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়:
ক. ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থা
খ. সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতি
গ. মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতি
প্রশ্ন ১৪: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর: যে অর্থব্যবস্থায় সম্পত্তির উপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে এবং যেখানে অবদানের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে দ্রব্য বন্টিত হয় এবং উৎপাদন বণ্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে না, তাকেই ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন ১৫: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
ক. ক্রেতার সার্বভৌমত্ব থাকে,
খ. উৎপাদন ব্যবস্থায় উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে,
গ. বাণিজ্যচক্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়,
ঘ. সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে,
ঙ. দাম ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
প্রশ্ন ১৬: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার তিনটি সুবিধা লিখো।
উত্তর: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার সুবিধাগুলি হল:
ক. এই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তির স্বাধীনতা চূড়ান্ত থাকে।
খ. উৎপাদকের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকার জন্য প্রত্যেকেই উৎপাদন ব্যয় কমাতে চায়।
গ. এই ব্যবস্থাকে অর্থনৈতিক প্রসারের সহায়ক বলে মনে করে হয়।
প্রশ্ন ১৭: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার তিনটি অসুবিধা লিখো।
উত্তর: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি হল:
ক. এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র মুনাফার দিকেই দৃষ্টি দেওয়া হয়। যার জন্য অনেক সময় সমাজের পক্ষে অনিষ্টকর দ্রব্যও উৎপাদন করা হয়।
খ. ধনতন্ত্রে প্রায়ই অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
গ. এই ব্যবস্থায় আয় ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে নিদারুণ বৈষম্য দেখা দেয়।
উত্তর: ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ধনতন্ত্র বা ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি বা বাজার ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি হল:
ক. এই ব্যবস্থায় শুধুমাত্র মুনাফার দিকেই দৃষ্টি দেওয়া হয়। যার জন্য অনেক সময় সমাজের পক্ষে অনিষ্টকর দ্রব্যও উৎপাদন করা হয়।
খ. ধনতন্ত্রে প্রায়ই অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
গ. এই ব্যবস্থায় আয় ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে নিদারুণ বৈষম্য দেখা দেয়।
প্রশ্ন ১৮: "অদৃশ্য হস্ত" কাকে বলে?
অথবা,
কোন অর্থনীতিবিদ বাজার ব্যবস্থাকে "অদৃশ্য হস্ত" নামে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: অ্যাডাম স্মিথ [Adam Smith] দাম ব্যবস্থাকে বা বাজার ব্যবস্থাকে "অদৃশ্য হস্ত" নামে উল্লেখ করেছেন কারণ এই অদৃশ্য হস্তের অঙ্গুলি সংকেতের মাধ্যমেই সমগ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।
উত্তর: অ্যাডাম স্মিথ [Adam Smith] দাম ব্যবস্থাকে বা বাজার ব্যবস্থাকে "অদৃশ্য হস্ত" নামে উল্লেখ করেছেন কারণ এই অদৃশ্য হস্তের অঙ্গুলি সংকেতের মাধ্যমেই সমগ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন ১৯: সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে বোঝায় যেখানে উৎপাদনের সমস্ত উপাদান - যেমন, জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন ইত্যাদির উপর কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না, পরিবর্তে থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা বা সামাজিক মালিকানা এবং যেখানে জনসাধারণের সর্বাধিক কল্যাণের জন্য উৎপাদন এবং বণ্টন ব্যবস্থাও পরিচালিত হয় রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণে।
উত্তর: সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলতে বোঝায় যেখানে উৎপাদনের সমস্ত উপাদান - যেমন, জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন ইত্যাদির উপর কোনো ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে না, পরিবর্তে থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা বা সামাজিক মালিকানা এবং যেখানে জনসাধারণের সর্বাধিক কল্যাণের জন্য উৎপাদন এবং বণ্টন ব্যবস্থাও পরিচালিত হয় রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণে।
প্রশ্ন ২০: পরিকল্পিত অর্থনীতির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: পরিকল্পিত অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
ক. উৎপাদনের উপাদানের উপর রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক মালিকানা বজায় থাকে,
খ. ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্য থাকে না,
গ. একে নিয়ন্ত্রিত অর্থব্যবস্থা বলা হয়।
প্রশ্ন ২১: সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতির তিনটি সুবিধা লিখো।
উত্তর: সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতির সুবিধাগুলি হল:
ক. এই অর্থব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত। কাজেই এখানে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় না।
খ. এই অর্থনীতিতে শ্রমিক শোষণ থাকে না।
গ. এই অর্থনীতিতে আয় বৈষম্য থাকে না।
প্রশ্ন ২২: সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতির তিনটি অসুবিধা লিখো।
উত্তর: সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা সমাজতন্ত্র বা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বা পরিকল্পিত অর্থনীতির অসুবিধাগুলি হল:
ক. উৎপাদনের গুণগত মান হ্রাস পায়,
খ. দাম ব্যবস্থা বা বাজার ব্যবস্থা কাজ করে না,
গ. ভোগকারীর স্বার্থ ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন ২৩: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলতে এমন এক অর্থব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে উৎপাদন ও ভোগ কার্য সংগঠিত করার ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটে থাকে।
প্রশ্ন ২৪: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
ক. এই অর্থব্যবস্থায় সরকারি নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত উদ্যোগের স্বাধীনতা থাকে।
খ. এই অর্থব্যবস্থায় সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকার স্বীকৃত হয়।
গ. এই অর্থব্যবস্থায় বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারি নিয়ন্ত্রণের মিশ্রণ থাকে।
প্রশ্ন ২৫: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির দুটি সুবিধা লিখো।
উত্তর: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির দুটি সুবিধা হল:
ক. বেসরকারি ক্ষেত্রের পরিচালন দক্ষতা এবং সরকারি ক্ষেত্রের আর্থিক স্বচ্ছন্দ্য এই উভয়ের সমন্বয় হওয়ায় দেশ দ্রুত হারে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।
খ. সরকারি উদ্যোগকে ক্রমাগত সম্প্রসারিত করে জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণ বৃদ্ধি করা মিশ্র অর্থনীতিতে সম্ভব।
প্রশ্ন ২৬: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির দুটি অসুবিধা লিখো।
উত্তর: মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মিশ্র অর্থনীতির দুটি অসুবিধা হল:
ক. মিশ্র অর্থনীতির মাধ্যমে কখনোই সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
খ. সরকারি ক্ষেত্র এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ঘটে এবং তার ফলে ব্যয় বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ২৭: সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সহাবস্থান কোন অর্থব্যবস্থার অঙ্গ?
উত্তর: সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সহাবস্থান মিশ্র অর্থব্যবস্থার অঙ্গ।
প্রশ্ন ২৮: উন্নয়নশীল দেশ বা উন্নয়নশীল অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: যে সব দেশ দরিদ্র, জনগণের বেশির ভাগ অংশই জীবিকার জন্য কৃষিক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নত হচ্ছে তাকে উন্নয়নশীল দেশ বা উন্নয়নশীল অর্থনীতি বলে।
প্রশ্ন ২৯: উন্নয়নশীল দেশ বা উন্নয়নশীল অর্থনীতির তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ লিখো।
উত্তর: উন্নয়নশীল দেশ বা উন্নয়নশীল অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
ক. উন্নয়নশীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল দারিদ্র্যের উপস্থিতি।
খ. প্রাথমিক পরিকাঠামোর অভাব পরিলক্ষিত হয়।
গ. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি হয়।
প্রশ্ন ৩০: উন্নত অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: জাতীয় আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রতিষ্ঠানগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিবর্তন সাধিত হলে তাকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে। আর যে সমস্ত অর্থব্যবস্থা এই সমস্ত শর্তগুলি বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয় তাকে উন্নত অর্থনীতি বলে।
প্রশ্ন ৩১: একটি উন্নত অর্থব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ লিখো।
উত্তর: একটি উন্নত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
ক. জাতীয় আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে,
খ. সাক্ষরতার হার বেশি হয়।
প্রশ্ন ৩২: স্বল্পোন্নত দেশ বা স্বল্পোন্নত অর্থনীতি কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দ্রুত, প্রাকৃতিক সম্পদের সম্পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হয় না, মূলধন গঠনের হারও কম এবং জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্নমানের হয় সেই সমস্ত দেশগুলিকে স্বল্পোন্নত দেশ বা স্বল্পোন্নত অর্থনীতি বলে।
প্রশ্ন ৩৩: স্বল্পোন্নত দেশ বা স্বল্পোন্নত অর্থনীতির দুটি বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর: স্বল্পোন্নত দেশ বা স্বল্পোন্নত অর্থনীতির দুটি বৈশিষ্ট্য হল:
ক. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের প্রভাব ব্যাপক,
খ. বেশির ভাগ জনসংখ্যা প্রাথমিক ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন ৩৪: অনুন্নত অর্থনীতি বা অনুন্নত দেশ কাকে বলে?
উত্তর: উন্নত দেশের তুলনায় যে সব দেশের জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সাপেক্ষে মূলধনের গঠনের পরিমাণ কম তাকে অনুন্নত অর্থনীতি বা অনুন্নত দেশ বলে।
প্রশ্ন ৩৫: অনুন্নত অর্থনীতি বা অনুন্নত দেশর দুটি বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর: অনুন্নত অর্থনীতি বা অনুন্নত দেশর দুটি বৈশিষ্ট্য হল:
ক. মাথাপিছু আয় খুবই কম হয়,
খ. মূলধনী দ্রব্যের পরিমাণও খুবই কম হয়।
প্রশ্ন ৩৬: স্থিতিশীল ভারসাম্য কাকে বলে?
উত্তর: চাহিদা-যোগানের অসমতার ফলে ক্রিয়াশীল এককগুলির ওপর এমন প্রতিক্রিয়া হয় যে তারা তাদের আচরণ বদলায় এবং চলরশিগুলি তার ফলে আবার পুরোনো ভারসাম্যে ফিরে যায়, তবে ঐ ভারসাম্যটিকে স্থিতিশীল ভারসাম্য বলে।
প্রশ্ন ৩৭: স্থিতিহীন ভারসাম্য কাকে বলে?
উত্তর: ভারসাম্য থেকে সরে গেলে যদি এমন শক্তির উদ্ভব ঘটে যে চলরশিগুলো ভারসাম্যে না ফিরে তার থেকে দূরে সরে যায় তবে তাকে স্থিতিহীন ভারসাম্য বলে।
প্রশ্ন ৩৮: থিতু অবস্থা বা "State of Inertia" কাকে বলে?
উত্তর: ভারসাম্য বিন্দু থেকে স্বল্প বিচ্যুতি ঘটার পর যদি আবার ভারসাম্য বিন্দুতে ফিরে আসার প্রবণতা থাকে তাহলে ভারসাম্য বিন্দুর এই স্থিরতাকে থিতু অবস্থা বা "State of Inertia" বলে।
প্রশ্ন ৩৯: শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক. ____ অর্থব্যবস্থায় সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের সহাবস্থান দেখা যায়।
খ. বাজার ব্যবস্থা ____ হস্ত নামেও পরিচিত।
গ. ____ অর্থব্যবস্থায় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
ঘ. ____ তাঁর দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের (Dialectical Materialism) মাধ্যমে সমাজের বিকাশের ধারাটি ব্যক্ত করেছেন।
ঙ. ____ ব্যবস্থাকে অদৃশ্য হস্ত বলা হয়।
চ. সংরক্ষিত বনাঞ্চল হল একটি ____ মালিকানাধীন সম্পত্তি।
ছ. বাজার ব্যবস্থায় অর্থনীতিতে দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা ও ____ ঘাত প্রতিঘাতে।
উত্তর:
ক. মিশ্র
খ. অদৃশ্য
গ. ধনতান্ত্রিক
ঘ. মার্কস
ঙ. বাজার বা দাম
চ. সাধারণ
ছ. জোগানের
প্রশ্ন ৪০: ঠিক না ভুল লিখো:
ক. অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ দাম-মুনাফা প্রক্রিয়াকে অদৃশ্য বস্তু নামে উল্লেখ করেছেন।
খ. বর্তমানে ভারতে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে, তা হল মিশ্র অর্থব্যবস্থা।
গ. সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা থেকেই অর্থব্যবস্থার মৌলিক সমস্যাগুলির উদ্ভব হয়।
ঘ. উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুতেই একমাত্র দক্ষতার সঙ্গে উৎপাদন সম্ভব।
ঙ. উন্নত অর্থনীতিতে প্রাথমিক ক্ষেত্রের প্রাধান্য দেখা যায়।
উত্তর:
ক. ভুল
খ. ঠিক
গ. ঠিক
ঘ. ঠিক
ঙ. ভুল