Welcome to the Official Web Portal of Lakshyavedh Group of Firms

অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী) চ্যাপ্টার 3: চাহিদা, জোগান, বাজার, দাম ও উৎপাদন ব্যয়

অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী)

চ্যাপ্টার 3: চাহিদা, জোগান, বাজার, দাম ও উৎপাদন ব্যয়


[নোট: এই চ্যাপ্টার থেকে ছোট প্রশ্নোত্তর আসে না, কিন্তু কোরোনার জন্য এই বছর ছোট প্রশ্নোত্তরও থাকবে এবং বড় প্রশ্নোত্তরও থাকবে]

প্রশ্ন ১: উপযোগিতা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো দ্রব্যের বা সেবাকার্যের মধ্যে অভাব পূরণ করার ক্ষমতাকে সেই দ্রব্যের বা সেবাকার্যের উপযোগিতা বলে।

প্রশ্ন ২: উপযোগিতা কয় প্রকারের ও কী কী?
উত্তর: উপযোগিতাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়:
ক. প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক উপযোগিতা;
খ. স্থানান্তর উপযোগিতা;
গ. সময়গত উপযোগিতা;
ঘ. রূপান্তর উপযোগিতা;
ঙ. সেবাগত উপযোগিতা।

প্রশ্ন ৩: উপযোগিতার ধারণাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উত্তর: উপযোগিতার ধারণাকে দুই ভাগে ভাগ করা:
ক. মোট উপযোগ বা মোট উপযোগিতা
খ. প্রান্তিক উপযোগ বা প্রান্তিক উপযোগিতা।

প্রশ্ন ৪: মোট উপযোগ বা মোট উপযোগিতা কাকে বলে?
উত্তর: একটি দ্রব্যের কোনো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোগ করে ক্রেতা যে উপযোগিতা পান, তাকে মোট উপযোগ বা মোট উপযোগিতা বলে।

প্রশ্ন ৫: প্রান্তিক উপযোগ বা প্রান্তিক উপযোগিতা কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য বিষয় পরিবর্তিত অবস্থায় ক্রেতা কোনো দ্রব্যের ভোগ এক একক পরিমাণ বৃদ্ধি করলে মোট উপযোগিতার যে পরিবর্তন ঘটে তাকে প্রান্তিক উপযোগ বা প্রান্তিক উপযোগিতা বলে।

প্রশ্ন ৬: ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগিতার নিয়মটি লিখ।
উত্তর: অধ্যাপক মার্শালের মতে, অন্যান্য বিষয় স্থির অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো একটি দ্রব্যের ভোগ যতই বৃদ্ধি পায় সেই দ্রব্যটির অতিরিক্ত ভোগ থেকে প্রাপ্ত প্রান্তিক উপযোগিতার পরিমাণ ততই কমতে থাকে। একেই ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগিতার নিয়ম বলে।

প্রশ্ন ৭: চাহিদা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো ক্রেতা বা ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা, আর্থিক সামর্থ্য বা ক্রয়ক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট দামে ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তবে তাকেই অর্থনীতিতে চাহিদা বলে।

প্রশ্ন ৮: ব্যক্তিগত চাহিদা নির্ধারণকারী দুটি বিষয়ের নাম লিখ।
উত্তর: ব্যক্তিগত চাহিদা নির্ধারণকারী দুটি বিষয় হল:
ক. ক্রেতার রুচি, পছন্দ ও অভ্যাস,
খ. ক্রেতার আয়।

প্রশ্ন ৯: বাজার চাহিদা নির্ধারণকারী দুটি বিষয়ের নাম লিখ।
উত্তর: বাজার চাহিদা নির্ধারণকারী দুটি বিষয় হল:
ক. বাজারে ক্রেতার সংখ্যা,
খ. নতুন দ্রব্যের প্রচলন।

প্রশ্ন ১০: চাহিদা তালিকা বা চাহিদা সূচি কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণে কত পরিবর্তন হচ্ছে তার সংখ্যাত্নক প্রকাশ বা তালিকাকে চাহিদা তালিকা বা চাহিদা সূচি বলে।

প্রশ্ন ১১: চাহিদা তালিকা বা চাহিদা সূচি কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: চাহিদা তালিকা বা চাহিদা সূচি দু ধরনের হয়:
ক. ব্যক্তিগত চাহিদা তালিকা বা ব্যক্তিগত চাহিদা সূচি 
খ. বাজার চাহিদা তালিকা বা মোট চাহিদা তালিকা

প্রশ্ন ১২: ব্যক্তিগত চাহিদা তালিকা বা ব্যক্তিগত চাহিদা সূচি কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত অবস্থায় কোনো ভোক্তা নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ ক্রয় করতে ইচ্ছুক থাকে তার সংখ্যাত্নক প্রকাশ বা তালিকাকে ব্যক্তিগত চাহিদা তালিকা বা ব্যক্তিগত চাহিদা সূচি বলে।

প্রশ্ন ১৩: বাজার চাহিদা তালিকা বা মোট চাহিদা তালিকা কাকে বলে?
অথবা,
বাজার চাহিদা তালিকা কীভাবে পাওয়া যায়?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত অবস্থায় বাজারের সমস্ত ভোক্তা মিলে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের যে পরিমাণ ক্রয় করতে ইচ্ছুক থাকে তার সংখ্যাত্নক প্রকাশ বা তালিকাকে বাজার চাহিদা তালিকা বা মোট চাহিদা তালিকা বলে।
অর্থাৎ, বাজার চাহিদা তালিকা হল কোনো একটি দ্রব্যের সমস্ত ভোক্তার ব্যক্তিগত চাহিদা তালিকার যোগফল।

প্রশ্ন ১৪: চাহিদা রেখা বা চাহিদা তালিকা রেখা কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণে কত পরিবর্তন হচ্ছে তা যখন রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে চাহিদা রেখা বলা হয়।
অন্যভাবে বলতে গেলে, কোনো চাহিদা সূচিকে রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করলে চাহিদা রেখা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৫: চাহিদার নিয়মটি লিখ।
উত্তর: চাহিদার নিয়মে বলা হয় যে, "অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত" অর্থাৎ ক্রেতার আয়, অন্যান্য সম্পর্কিত দ্রব্যের মূল্য, ক্রেতার রুচি, অভ্যাস ও পছন্দ, সময়কাল প্রভৃতি অপরিবর্তিত থাকলে কোনো দ্রব্যের নিজস্ব দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে এবং দাম কমলে চাহিদা বাড়ে।

প্রশ্ন ১৬: চাহিদার নিয়মের অনুমানগুলি কি কি?
উত্তর: চাহিদার নিয়মের অনুমানগুলি হল:
ক. ক্রেতার রুচি, অভ্যাস ও পছন্দ অপরিবর্তিত থাকবে,
খ. ক্রেতার আয় অপরিবর্তিত থাকবে,
গ. অন্যান্য সম্পর্কিত দ্রব্যের দামের কোনো পরিবর্তন হবে না,
ঘ. বাজারে ক্রেতার সংখ্যার কোনো পরিবর্তন হবে না।

প্রশ্ন ১৭: চাহিদার নিয়মের দুটি ব্যতিক্রম লিখ।
উত্তর: চাহিদার নিয়মের দুটি ব্যতিক্রম হল:
ক. কোনো দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি বিকল্প দ্রব্যের দামেরও অনুরূপ পরিবর্তন ঘটে, সে সব দ্রবের ক্ষেত্রে চাহিদার নিয়ম কার্যকর হয় না।
খ. গিফেন দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদার নিয়ম কার্যকরী হয় না।

প্রশ্ন ১৮: জোগান কাকে বলে?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতা বাজারে কোনো দ্রব্য বা সেবার যে পরিমাণ বিক্রি করার সামর্থ্য রাখে তাকে জোগান বলে।

প্রশ্ন ১৯: জোগান নির্ধারণকারী বিষয়গুলি কী কী?
উত্তর: জোগান নির্ধারণকারী বিষয়গুলি হল:
ক. দ্রব্যের দাম,
খ. উৎপাদনের উপকরণের দাম,
গ. প্রযুক্তি,
ঘ. প্রত্যাশা,
ঙ. সম্পর্কিত দ্রব্যের দাম,
চ. প্রান্তিক ব্যয় ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২০: ব্যক্তিগত জোগান ও বাজার জোগান কাকে বলে?
উত্তর:
ব্যক্তিগত জোগান: একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজন বিক্রেতা বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ জোগান দেন তাকে ব্যক্তিগত জোগান বলে।

বাজার জোগান: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বাজারের সব বিক্রেতা বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ জোগান দেন তাকে বাজার জোগান বলে।
অর্থাৎ, বাজার জোগান হল কোনো একটি দ্রব্যের সমস্ত বিক্রেতার ব্যক্তিগত জোগানের যোগফল।

প্রশ্ন ২১: জোগান তালিকা বা জোগান সূচি কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের জোগানের পরিমাণে কত পরিবর্তন হচ্ছে তার সংখ্যাত্নক প্রকাশ বা তালিকাকে জোগান তালিকা বা জোগান সূচি বলে।

প্রশ্ন ২২: জোগান রেখা কাকে বলে?
উত্তর: অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের জোগানের পরিমাণে কত পরিবর্তন হচ্ছে তা যখন রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে জোগান রেখা বলা হয়।
অন্যভাবে বলতে গেলে, কোনো জোগান সূচিকে রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করলে জোগান রেখা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২৩: জোগানের নিয়মটি লিখো।
উত্তর: জোগানের অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায়, যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যটির জোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং যখন দ্রব্যের দাম হ্রাস পায় তখন জোগানের পরিমাণও হ্রাস পায়। একই জোগানের নিয়ম বলে।

প্রশ্ন ২৪: জোগানের নিয়মের দুটি ব্যতিক্রম লিখো।
উত্তর: জোগানের নিয়মের দুটি ব্যতিক্রম হল:
ক. এমন অনেক দ্রব্য আছে যার পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং দাম হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে এদের জোগান পরিবর্তিত হয় না। যেমন - প্রখ্যাত শিল্পীদের আঁকা দুর্লভ ছবি।
খ. মজুরি বৃদ্ধি পেলে শ্রমের জোগান কমে যায়। এক্ষেত্রে জোগানের নিয়ম কাজ করে না।

প্রশ্ন ২৫: পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি সমজাতীয় দ্রব্যের কেনাবেচা করে এবং যে বাজারে ক্রেতা বা বিক্রেতা ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারে বা বেরিয়ে যেতে পারে, সেই বাজারকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার বলে।

প্রশ্ন ২৬: একচেটিয়া বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে একজন মাত্র বিক্রেতা এবং অনেক ক্রেতা থাকে এবং দ্রব্যটির কোনো ঘনিষ্ট বিকল্প থাকে না এবং যে বাজারে নতুন কোনো ফার্ম প্রবেশ করতে পারে না, সেই বাজারকে একচেটিয়া বাজার বলে।

প্রশ্ন ২৭: একচেটিয়া প্রতিযোগিতার বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে এবং দ্রব্যগুলি ঈষৎ পৃথকীকৃত কিন্তু একে অপরের ঘনিষ্ট পরিবর্ত এবং যে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার বাজারে প্রবেশ করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাবার স্বাধীনতা থাকে সেই বাজারকে একচেটিয়া প্রতিযোগিতার বাজার বলে। এই বাজার পূর্ণ প্রতিযোগিতা ও একচেটিয়া বাজারের সংমিশ্রণ।

প্রশ্ন ২৮: অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে অনেক ক্রেতা এবং স্বল্পসংখ্যক বিক্রেতা থাকে এবং বিক্রেতার আচরণে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকে সেই বাজারকে অলিগোপলি বাজার বলে।

প্রশ্ন ২৯: অলিগোপসনি কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে কয়েকজন ক্রেতা এবং অনেক বিক্রেতা থাকে সেই বাজারকে অলিগোপসনি বাজার বলে। এই বাজার অলিগোপলি বাজারের পরিপূরক রূপ।

প্রশ্ন ৩০: দ্বিপাক্ষিক অলিগোপলি কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ক্রেতা মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিক্রেতার সম্মুখীন হয় তাকে দ্বিপাক্ষিক অলিগোপলি বাজার বলে। দ্বিপাক্ষিক অলিগোপলির ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়দিকেই অপূর্ণ প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যায়।

প্রশ্ন ৩১: ঠিক না ভুল লিখো:
ক. একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রত্যেক বিক্রেতা ঈষৎ পৃথকীকৃত দ্রব্য বিক্রি করে।
খ. একচেটিয়া বিক্রেতা তার দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণকারী।
গ. একচেটিয়া প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রতিটি বিক্রেতা একটি পৃথককৃত দ্রব্য বিক্রি করে যেটির একটি ঘনিষ্ট বিকল্প আছে।
ঘ. যে বাজারে অসংখ্য ক্রেতা কিন্তু স্বল্পসংখ্যক বিক্রেতা থাকে, তাকে অলিগোপসনি বাজার বলে।
ঙ. পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকে।
চ. একচেটিয়া ফার্ম দাম নির্মাতা, দামগ্রহীতা নয়।
উত্তর:
ক. ঠিক
খ. ঠিক
গ. ঠিক
ঘ. ঠিক
ঙ. ঠিক
চ. ঠিক

প্রশ্ন ৩২: অতি স্বল্পমেয়াদী বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে দ্রব্যের যোগান সম্পূর্ণ স্থির থাকে, যোগানের কোনো পরিবর্তন ঘটানো যায় না, সেই বাজারকে অতি স্বল্পমেয়াদী বাজার বলে।

প্রশ্ন ৩৩: স্বল্পমেয়াদী বাজার কাকে বলে?
উত্তর: ফার্মের কেবলমাত্র পরিবর্তনীয় উপাদানের নিয়োগের পরিবর্তন ঘটিয়ে যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটানো যে বাজারে সম্ভব, সেই বাজারকে স্বল্পমেয়াদী বাজার বলে।

প্রশ্ন ৩৪: দীর্ঘমেয়াদী বাজার কাকে বলে?
উত্তর: যে বাজারে নতুন ফার্মের প্রবেশ বা প্রস্থানের মাধ্যমে, কলাকৌশল অথবা স্থায়ী উপাদানের পরিবর্তনের মাধ্যমে যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটানো যায়, তাকে দীর্ঘমেয়াদী বাজার বলে।

প্রশ্ন ৩৫: অতি দীর্ঘমেয়াদী বাজার কাকে বলে?
উত্তর: জনসংখ্যা, রুচি, নতুন দ্রব্যের উদ্ভাবন প্রভৃতির ফলে কোনো দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের যে সুদূর প্রসারী পরিবর্তন ঘটে, তার সুযোগ গ্রহণ করে যে বাজারে দ্রব্যের যোগান দেওয়া হয়, তাকে অতি দীর্ঘমেয়াদী বাজার বলে।

প্রশ্ন ৩৬: উৎপাদন ব্যয় কাকে বলে?
উত্তর: দ্রব্য উৎপাদনের জন্য জমি, শ্রম, মূলধন ইত্যাদি বহুবিধ যে সমস্ত উপকরণের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের যে ব্যয় হয় তাকেই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় বলে। 

প্রশ্ন ৩৭: স্থির ব্যয় [Fixed Cost বা FC] বা মোট স্থির ব্যয় [Total Fixed Cost বা TFC] কাকে বলে?
উত্তর: যেসব ব্যয় উৎপাদনের পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় অর্থাৎ উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে যে ব্যয় পরিবর্তিত হয় না বরং স্থিরই থাকে তাকে স্থির ব্যয় বা মোট স্থির ব্যয় বলা হয়।
যেমন - স্থায়ী কর্মচারীদের বেতন, বিমার প্রিমিয়াম, সরকারকে প্রদেয় লাইসেন্স ফি, যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয় ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৮: গড় স্থির ব্যয় [Average Fixed Cost বা AFC] কাকে বলে?
উত্তর: মোট স্থির ব্যয়কে উৎপাদনের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে গড় স্থির ব্যয় বলে।

প্রশ্ন ৩৯: পরিবর্তনীয় ব্যয় [Variable Cost বা VC] বা মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় [Total Variable Cost বা TVC] কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ পরিবর্তিত হওয়ার ফলে যে ব্যয়ের পরিবর্তন হয়, তাকে পরিবর্তনীয় ব্যয় বা মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় বলে।
যেমন - কাঁচামালের ব্যয়, জ্বালানি ব্যয়, অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি, পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪০: গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় [Average Variable Cost বা AVC] কাকে বলে?
উত্তর: মোট পরিবর্তনীয় ব্যয়কে উৎপাদনের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকে গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় বলে।

প্রশ্ন ৪১: মোট ব্যয় [Total Cost বা TC] কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রতিষ্ঠানের মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় এবং মোট স্থির ব্যয়ের যোগফলকে মোট ব্যয় বলে।
অর্থাৎ,
মোট ব্যয় = মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় + মোট স্থির ব্যয়

প্রশ্ন ৪২: গড় ব্যয় [Average Cost বা AC] কাকে বলে?
উত্তর: মোট ব্যয়কে উৎপাদনের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায় তাকেই গড় ব্যয় বলে।
অর্থাৎ,
গড় ব্যয় = গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় + গড় স্থির ব্যয়

প্রশ্ন ৪৩: প্রান্তিক ব্যয় [Marginal Cost বা MC] কাকে বলে?
উত্তর: অতিরিক্ত এক একক উৎপাদনের জন্য যে অতিরিক্ত ব্যয় হয়, তাকেই প্রান্তিক ব্যয় বলে।

প্রশ্ন ৪৪: প্রান্তিক ব্যয় [Marginal Cost বা MC] এবং গড় ব্যয়ের [Average Cost বা AC] মধ্যে সম্পর্ক লিখো।
উত্তর: প্রান্তিক ব্যয় [MC] এবং গড় ব্যয়ের [AC] মধ্যে সম্পর্কটি হল নিম্নরূপ:
✓ যখন গড় ব্যয় কমে তখন প্রান্তিক ব্যয় গড় ব্যয় অপেক্ষা কম হবে।
অর্থাৎ, MC < AC
✓ যখন গড় ব্যয় বাড়ে তখন প্রান্তিক ব্যয় গড় ব্যয় অপেক্ষা বেশি হবে।
অর্থাৎ, MC > AC
✓ যখন গড় ব্যয় স্থির আছে (বাড়ছেও না বা কমছেও না) তখন গড় ব্যয় ও প্রান্তিক ব্যয় সমান হবে।
অর্থাৎ, MC = AC