Welcome to the Official Web Portal of Lakshyavedh Group of Firms

অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী) চ্যাপ্টার 16: শিল্প অর্থনীতি

অর্থনীতি (একাদশ শ্রেণী) 

চ্যাপ্টার 16

শিল্প অর্থনীতি



প্রশ্ন ১: মূল শিল্প বা ভারী শিল্প কাকে বলে?
উত্তর: এমন কতগুলি শিল্প আছে যেগুলি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে গেলে খুবই প্রয়োজন। এগুলিকে মূল শিল্প বলা হয়।
এই ধরনের শিল্প গড়ে না উঠলে অন্যান্য শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয় এবং এই ধরনের শিল্পের জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই এই শিল্পগুলিকে ভারী শিল্পও বলা হয়।

প্রশ্ন ২: ভারতের কয়েকটি ভারী শিল্পের নাম লেখো।
উত্তর: লৌহ ও ইস্পাত; বিদ্যুৎ উৎপাদন; রাসায়নিক শিল্প; রেল ইঞ্জিন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩: রুগ্ন শিল্প কাকে বলে?
উত্তর: কোনো শিল্প সংস্থা যখন ক্রমাগত ক্ষতি স্বীকার করতে থাকে এবং তার ফলে নিজের দেনা মেটাতে সক্ষম হয় তখন সেই শিল্প সংস্থাকে রুগ্ন শিল্প বলে।

প্রশ্ন ৪: ভারতের দুটি রুগ্ন শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: ভারতের দুটি রুগ্ন শিল্প হল পাট শিল্প ও বস্ত্র শিল্প।

প্রশ্ন ৫: অনুপূরক বা সহায়ক বা অনুসারী শিল্প কাকে বলে?
উত্তর: যে সমস্ত শিল্প ইউনিটের ক্ষেত্রে বিনিয়োজিত মূলধনের পরিমাণ 1 কোটি টাকার বেশি নয় এবং যেগুলি অন্য শিল্পের ব্যবহার্য যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে, তাদের অনুপূরক বা সহায়ক বা অনুসারী শিল্প বলে।

প্রশ্ন ৬: ক্ষুদ্র শিল্পের সংজ্ঞা দেও।
অথবা,
ক্ষুদ্রায়তন শিল্প কাকে বলে?
উত্তর: স্বল্প আয়তনে, স্বল্পসংখ্যক শ্রমিকদের সাহায্যে, স্বল্প মূলধন নিয়োগ করে আধুনিক পদ্ধতিতে যন্ত্রশক্তির সাহায্যে উৎপাদন করা হলে তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বা ক্ষুদ্রায়তন শিল্প বলে।

প্রশ্ন ৭: কুটির শিল্প কাকে বলে?
উত্তর: যেখানে পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে নিজের গৃহের চৌহদ্দিতে চিরাচরিত ধরনের যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন পরিচালিত হয়, তাদের কুটির শিল্প বলে।

প্রশ্ন ৮: ভারতে ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব কীভাবে বোঝ যায়?
উত্তর: ভারতের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব খুব বেশি। উৎপাদনের পরিমাণ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি, আর্থিক বৈষম্য হ্রাস, আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস সব দিক দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

প্রশ্ন ৯: ভারতের ক্ষুদ্র শিল্পের কয়েকটি সমস্যা লিখো।
অথবা,
ভারতে কুটির শিল্পের কয়েকটি সমস্যা লিখো।
উত্তর: ভারতের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হল:
ক. মূলধনের সমস্যা;
খ. কাঁচামালের সমস্যা;
গ. পণ্য বিক্রয়ের সমস্যা;
ঘ. বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমস্যা;
ঙ. রপ্তানির সমস্যা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১০: ক্ষুদ্র শিল্পকে সাহায্য করার জন্য সরকার যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তার কয়েকটি উল্লেখ করো।
উত্তর: ক্ষুদ্র শিল্পকে সাহায্য করার জন্য সরকার যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সেগুলি হল:
ক. সরকার বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড স্থাপন করেছে;
খ. অর্থ কর্পোরেশন স্থাপন হয়েছে;
গ. সস্তায় বিদ্যুৎ সরবরাহ;
ঘ. সহজ শর্তে জমির ব্যবস্থা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১১: ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে অর্থ সংস্থানের জন্য স্থাপিত দুটি আর্থিক সংস্থার নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে অর্থ সংস্থানের জন্য স্থাপিত দুটি আর্থিক সংস্থার নাম হল:
ক. রাজ্য অর্থ কর্পোরেশন (State Financial Corporation বা SFC)
খ. ভারতের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক (Small Industries Development Bank of India বা SIDBI)

প্রশ্ন ১২: সরকারি উদ্যোগ বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কাকে বলে?
অথবা,
সরকারি ক্ষেত্র বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর: যখন কোনো দেশের সরকার ঐ দেশের শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যের মালিকানা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে, তখন তাকে সরকারি উদ্যোগ বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বলে। সরকারি উদ্যোগের সংস্থাগুলোকে সমষ্টিগতভাবে সরকারি ক্ষেত্র বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্র (Public Sector Enterprise) বলে।

প্রশ্ন ১৩: কয়েকটি সরকারি ক্ষেত্রের অন্তর্গত সংস্থার উদাহরণ দেও।
উত্তর: কয়কটি সরকারি ক্ষেত্রের অন্তর্গত সংস্থার উদাহরণ হল:
↪ CIL :: Coal India Limited 
↪ LICI :: Life Insurance Corporation of India
↪ DVC :: Damodar Valley Corporation
↪ SAIL :: Steel Authority of India Limited
↪ BHEL :: Bharat Heavy Electricals Limited
↪ IOCL :: Indian Oil Corporation Limited
↪ ONGC :: Oil and Natural Gas Corporation
↪ NTPC :: National Thermal Power Corporation Limited
↪ BSNL :: Bharat Sanchar Nigam Limited

প্রশ্ন ১৪: সরকারি সংস্থার সাংগঠনিক রূপ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: সরকারি সংস্থার সাংগঠনিক রূপ তিন প্রকার। যথা:
ক. সরকারি ক্ষেত্রের বিভাগীয় উদ্যোগ
খ. সরকারি কর্পোরেশন
গ. সরকারি কোম্পানি

প্রশ্ন ১৫: সরকারি ক্ষেত্রের বিভাগীয় উদ্যোগ কাকে বলে?
উত্তর: যখন সরকারি সংস্থা সরকারের কোনো বিভাগ আকারে বিভাগীয় মন্ত্রীর অধীনে সংগঠিত হয় তখন তাকে সরকারি ক্ষেত্রের বিভাগীয় উদ্যোগ বলে।

প্রশ্ন ১৬: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের বিভাগীয় উদ্যোগের দুটি প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দেও।
অথবা,
ভারতের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের বিভাগীয় উদ্যোগের দুটি প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ হল:
ক.
ভারতীয় রেল
খ.
ডাক ও তার বিভাগ

প্রশ্ন ১৭: কীভাবে কর্পোরেশন স্থাপিত ও পরিচালিত হয়?
উত্তর: আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কোনো সরকারি সংস্থা কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ওই সংস্থা কীভাবে কাজ করবে তার নির্দেশ ওই আইনেই দেওয়া থাকে। ওই সংস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং এর দৈনন্দিন কাজকর্মে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে না।

প্রশ্ন ১৮: সরকারি কোম্পানি কাকে বলে?
উত্তর: কোম্পানি আইন অনুযায়ী যে কোম্পানির 51% বা তার বেশি শেয়ার সরকারের মালিকানাধীন তাকে সরকারি কোম্পানি বলে।

প্রশ্ন ১৯: ভারতে সরকারি ক্ষেত্র গড়ে তোলার কয়েকটি গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা লিখো।
উত্তর: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের কয়কটি গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা হল:
ক. মূল ও ভারী শিল্প গড়ে তোলা;
খ. উপকরণের সুষ্ঠ বণ্টন ও ব্যবহার করা;
গ. আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করা;
ঘ. অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ রোধ করা;
ঙ. আয় ও সম্পদের পুনর্বণ্টন করা;
চ. মূলধন গঠনে সহায়তা করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২০: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের কয়েকটি ভূমিকা লিখো।
উত্তর: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের কয়কটি ভূমিকা হল:
ক. কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা;
খ. সঞ্চয় ও মূলধন গঠনে সহায়তা করা;
গ. মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি করা;
ঘ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা;
ঙ. আমদানি পরিবর্ত দ্রব্য উৎপাদন করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২১: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের কয়েকটি দুর্বলতা/সমস্যা লিখো।
উত্তর: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের কয়কটি দুর্বলতা/সমস্যা হল:
ক. উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাব;
খ. প্রকল্প শুরুর বিলম্ব;
গ. উপযুক্ত পরিচালনার অভাব;
ঘ. শ্রমিক সমস্যা;
ঙ. স্থান নির্বাচনে বিচক্ষণতার অভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২২: বেসরকারি সংস্থা কাকে বলে?
অথবা,
বেসরকারি ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর: যে সংস্থার মালিকানা বেসরকারি ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের ওপর ন্যস্ত থাকে তাকে বেসরকারি সংস্থা বলে। সকল বেসরকারি সংস্থাকে একত্রে বেসরকারি ক্ষেত্র (Private Sector Enterprise) বলে।

প্রশ্ন ২৩: কয়েকটি বেসরকারি ক্ষেত্রের অন্তর্গত সংস্থার উদাহরণ দেও।
উত্তর: কয়কটি বেসরকারি ক্ষেত্রের অন্তর্গত সংস্থার উদাহরণ হল:
↪ TISCO :: Tata Iron and Steel Company
↪ WIPRO :: Western India Palm Refined Oil Limited
↪ TELCO :: Tata Engineering and Locomotive Company
↪ HML :: Hindustan Motors Limited

প্রশ্ন ২৪: বেসরকারি সংস্থার সাংগঠনিক রূপ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বেসরকারি সংস্থার সাংগঠনিক রূপ তিন প্রকার। যথা:
ক. এক মালিকানা করবার
খ. অংশীদারি করবার
গ. বেসরকারি কোম্পানি

প্রশ্ন ২৫: যুগ্ম ক্ষেত্র বা যৌথ ক্ষেত্র কাকে বলে?
অথবা, 
যৌথ উদ্যোগ কাকে বলে?
অথবা,
সরকারি-বেসরকারি যৌথ ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর: পূর্ণ সরকারি উদ্যোগ এবং পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগের মাঝামাঝি যে ক্ষেত্র গঠন করা হয় তাকে যৌথ ক্ষেত্র (Joint Sector Enterprise) বলে। যৌথ ক্ষেত্রের সংস্থার মালিকানা আংশিক সরকারি এবং আংশিক বেসরকারি অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার হাতে যৌথ মালিকানা থাকে।

প্রশ্ন ২৬: PPP মডেলের অর্থ কি?
উত্তর: PPP মডেলের অর্থ হল Public Private Partnership Model বা সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশীদারিত্বের মডেল।

প্রশ্ন ২৭: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি প্রধান শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: পাট শিল্প; কার্পাস বয়ন শিল্প; লৌহ ও ইস্পাত শিল্প; ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প; চা শিল্প; কাগজ শিল্প; চর্ম শিল্প।

প্রশ্ন ২৮: এক খিড়কির সুবিধা (Single Window Facility) কাকে বলে?
উত্তর: ব্যক্তিগত উদ্যোগীদের সাহায্য করার জন্য যে "শিল্প বন্ধু" প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজন মেটানোর জন্য উদ্যোগীকে বিভিন্ন বিভাগে ঘোরাঘুরি করতে হবে না। এক স্থানেই তাঁর সব প্রয়োজন মিটবে। একে এক খিড়কির সুবিধা (Single Window Facility) বলা হয়।

প্রশ্ন ২৯: পশ্চিমবঙ্গের কোন অঞ্চলকে "ভারতের রূঢ়" বলা হয়?
উত্তর: কয়লা-সম্পদের নিকটবর্তী অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর অঞ্চলের শিল্প-ব্যবস্থা যেভাবে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে, তাতে একে "ভারতের রূঢ়" বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ৩০: হুগলি শিল্পাঞ্চল কোনটিকে বলা হয়?
উত্তর: নানা প্রাকৃতিক সুবিধা থাকার জন্য হুগলি নদীর দুই তীরে নানাবিধ শিল্প গড়ে উঠেছে। একে হুগলি শিল্পাঞ্চল বলা হয়। উত্তরে ত্রিবেণী-কল্যাণী থেকে শুরু করে দক্ষিণে বিড়লাপুর-উলুবেড়িয়া পর্যন্ত এই অঞ্চল বিস্তৃত।

প্রশ্ন ৩১: পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি শিল্পের নাম হল:
ক. ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প;
খ. কাগজ শিল্প;
গ. চর্ম শিল্প;
ঘ. রাসায়নিক শিল্প;
ঙ. ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্প;
চ. জাহাজ নির্মাণ শিল্প ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩২: পশ্চিমবঙ্গের মোটরগাড়ি নির্মাণের কারখানা কোথায় আছে?
উত্তর: হুগলি শিল্পাঞ্চলের হিন্দমোটর।

প্রশ্ন ৩৩: পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি শিল্পের নাম হল:
ক. লৌহ ও ইস্পাত শিল্প;
খ. রাসায়নিক শিল্প;
গ. ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৪: পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের দুটি শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: 
পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের দুটি শিল্পের নাম হল:
ক.
পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প;
খ.
সার শিল্প ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৫: পশ্চিমবঙ্গে চা শিল্প কোথায় গড়ে উঠেছে?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় চা শিল্প গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ৩৬: পশ্চিমবঙ্গে কয়লা শিল্প কোথায় গড়ে উঠেছে?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে কয়লা শিল্প গড়ে উঠেছে রানিগঞ্জ এবং আসানসোল এলাকায়।

প্রশ্ন ৩৭: পশ্চিমবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রধান কেন্দ্র কোথায়?
উত্তর: সল্টলেক, সেক্টর-5

প্রশ্ন ৩৮: পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রজন্মের দুটি শিল্পের নাম লিখো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রজন্মের দুটি শিল্পের নাম হল:
ক. তথ্যপ্রযুক্তি
খ. খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ

প্রশ্ন ৩৯: পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্প যেসব সমস্যার সম্মুখীন তার দুটি উল্লেখ করো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্প যেসব সমস্যার সম্মুখীন তার দুটি হল:
ক.
পুরনো যন্ত্রপাতির সমস্যা;
খ.
পাটের পরিবর্ত দ্রব্য হিসাবে কৃতিম তন্তুর উৎপাদন।

প্রশ্ন ৪০: পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়নের ধরনে যে পরিবর্তন সাম্প্রতিককালে ঘটেছে তার দুটি বিষয় উল্লেখ করো।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়নের ধরনে যে পরিবর্তন সাম্প্রতিককালে ঘটেছে তার দুটি বৈশিষ্ট্য হল:
ক. স্বনিযুক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে;
খ. জেলাগুলিতে নতুন শিল্পকেন্দ্র খোলা হচ্ছে।

প্রশ্ন ৪১: শূন্যস্থান পূরণ করো:
ক. ভারতের রূঢ় নামে অভিহিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গের ________ শিল্পাঞ্চলকে।
খ. স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে দুটি নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে। একটি হল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল অপরটি হল ________ শিল্পাঞ্চল।
গ. ভারতের প্রথম চটকল ________ সালে পশ্চিমবঙ্গের রিষড়াতে স্থাপিত হয়।
ঘ. ভারতের প্রথম কাপড়ের কল ________ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ঘুসুরিতে স্থাপিত হয়।
উত্তর:
ক. দুর্গাপুর
খ. হলদিয়া
গ. 1854
ঘ. 1818

প্রশ্ন ৪২: স্বাধীনতার পর প্রথম শিল্পনীতি কত সালে ঘোষিত হয়?
উত্তর: স্বাধীনতার পর প্রথম শিল্পনীতি 1948 সালে ঘোষিত হয়।

প্রশ্ন ৪৩: ভারতে দ্বিতীয় শিল্প নীতি ঘোষিত হয় কত সালে?
উত্তর: 1956 সালে।

প্রশ্ন ৪৪: ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের কর্মসূচি প্রথম গৃহীত হয় কোন সালে?
অথবা,
অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়া কত সালে চালু হয়?
উত্তর: 1985 সালে

প্রশ্ন ৪৫: ভারতে নয়া শিল্প নীতি ঘোষিত হয় কোন সালে?
অথবা,
ভারতে নয়া অর্থনৈতিক নীতি ঘোষিত হয় কোন সালে?
উত্তর: 1991 সালে।

প্রশ্ন ৪৬: 1991 সালের শিল্পনীতির মূল কথা কী?
উত্তর: 1991 সালের শিল্পনীতির মূল কথা হল আর্থিক নীতির উদারীকরণ।

প্রশ্ন ৪৭: সোনালী করমর্দন বা বিদায়নীতি (Golden Handshake or Exit Policy) কাকে বলে?
উত্তর: 1991 সালের 24 জুলাই ভারত সরকার নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করে। তাতে বেসরকারী উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারী রুগ্ন শিল্পগুলোর কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিদায় দেওয়া হচ্ছে এবং সংস্থাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একেই সোনালী করমর্দন বা বিদায়নীতি (Golden Handshake or Exit Policy) বলে।

প্রশ্ন ৪৮: উদারীকরণ (Liberalisation) কাকে বলে?
উত্তর: উদারীকরণ
(Liberalisation) বলতে উৎপাদন, বন্টন, বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাসকে বোঝায়।

প্রশ্ন ৪৯: বেসরকারীকরণ (Privatisation) কাকে বলে?
উত্তর: যে সাধারণ পদ্ধতির দ্বারা সরকারী মালিকানা বা পরিচালনাধীন কোনো সংস্থায় বেসরকারী ক্ষেত্রকে মালিকানা বা পরিচালনার শরিক করা হয়, তাকে বেসরকারীকরণ (Privatisation) বলে। 
অর্থাৎ, বেসরকারীকরণ বলতে কোনো সরকারী কোম্পানীর সম্পূর্ণটা বা একাংশ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা ক্রয় এবং/অথবা বেসরকারী পরিচালনাকে বোঝায়।

প্রশ্ন ৫০: বিশ্বায়ন বা ভুবনায়ন (Globalisation) বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বিশ্বায়ন বা ভুবনায়ন (Globalisation) বলতে বোঝায় এক নিয়ন্ত্রণহীন মুক্ত বাণিজ্য অর্থাৎ পণ্যের বা দ্রব্যের, মূলধনের, শ্রমের এবং প্রযুক্তির অবাধ গতিশীলতা।

প্রশ্ন ৫১: ঠিক বা ভুল লিখো:
ক. ভারতের নতুন শিল্পনীতি ঘোষিত হয় 1991 সালে।
খ. ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কারের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সরকারি ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ।
গ. ভারতে শিল্প বিকাশের ধারার প্রথম স্তর হল 1951-65।
ঘ. ভারতের শিল্পায়নে স্থিতাবস্থা ও কাঠামোগত অধোগমনের সময়কাল হল 1965-80।
উত্তর:
ক. ঠিক
খ. ভুল
গ. ঠিক
ঘ. ঠিক

প্রশ্ন ৫২: কাঠামোগত অধগমন (Structural retrogression) কাকে বলে?
অথবা,
শিল্পযোগ্য কাঠামোগত অধগমন কাকে বলে?
উত্তর: 1960-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। মূল ও মূলধনি দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার এই ঘটনাকে অধ্যাপক শেট্টি কাঠামোগত অধগমন বলে বর্ণনা করেছেন।

প্রশ্ন ৫৩: সম্পূর্ণ নাম লিখো:
ক. IISCO
খ. WBIIDC
গ. NSIC
ঘ. FERA
ঙ. BIFR
চ. MRTP Act
ছ. FEMA
জ. FIPB
ঝ. LPG
উত্তর: 
ক. IISCO :: Indian Iron and Steel Company
খ. WBIIDC :: West Bengal Industrial Infrastructure Development Corporation
গ. NSIC :: National Small Industries Corporation
ঘ. FERA :: Foreign Exchange Regulation Act
ঙ. BIFR :: Board for Industrial and Financial Reconstruction
চ. MRTP Act :: Monopolies and Restrictive Trade Practices Act
ছ. FEMA :: Foreign Exchange Management Act
জ. FIPB :: Foreign Investment Promotion Board
ঝ. LPG :: Liberalisation, Privatisation and Globalisation


5 মার্কসের জন্য নীচের প্রশ্নগুলো আপাতত খাতায় লিখে রাখবো। পরে আমি এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচলা করবো এবং নোটস লিখিয়ে দেবো।

প্রশ্ন ১: ক্ষুদ্রশিল্প কী? ভারতের ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা,
ভারতের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব ও ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন ২: ভারতীয় অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।

প্রশ্ন ৩: ভারতে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রধান শিল্পের সমস্যাগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করো।
অথবা,
ভারতের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বর্তমানে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন, সেগুলো বর্ণনা করো।

প্রশ্ন ৪: ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পর উন্নতির জন্য সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?

প্রশ্ন ৫: ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের বিস্তার কেন প্রয়োজন তার কারণগুলি সংক্ষেপে লিখো।
অথবা,
ভারতে সরকারি ক্ষেত্রের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন ৬: ভারতের শিল্পায়নে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের ভূমিকা আলোচনা করো।
অথবা,
ভারতে সরকারি শিল্পক্ষেত্রের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা,
ভারতের শিল্পায়নের প্রক্রিয়ায় সরকারি ক্ষেত্রের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

প্রশ্ন ৭: ভারতের সরকারি সংস্থাগুলির সমস্যা/দুর্বলতাগুলি আলোচনা করো।

প্রশ্ন ৮: সরকারি উদ্যোগগুলির মুনাফা বাড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার?

প্রশ্ন ৯: পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
পশ্চিমবঙ্গে কেনো ক্ষুদ্রশিল্পের প্রসারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

প্রশ্ন ১০: পশ্চিমবঙ্গের শিল্পগুলি যেসব সমস্যার সম্মুখীন তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেও।

প্রশ্ন ১১: পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়ন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।
অথবা,
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়নের ধরনে যে পরিবর্তন সাম্প্রতিককালে ঘটেছে তার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
অথবা,
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক বিকাশে শিল্পানয়নের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্ন ১২: 1948 সালের শিল্পনীতিতে শিল্পগুলিকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
অথবা,
1948 সালের ভারতের শিল্পনীতি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন ১৩: 1956 সালের শিল্পনীতিতে শিল্পগুলিকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
অথবা,
1956 সালের ভারতের শিল্পনীতি নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন ১৪: 1991 সালের শিল্পনীতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি লিখো।
অথবা,
সাম্প্রতিককালে ভারত সরকার প্রবর্তিত নয়া শিল্পনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা,
নতুন শিল্পনীতিতে সরকার কতখানি উদারীকরণের নীতি গ্রহণ করেছে তা পরীক্ষা করো।

প্রশ্ন ১৫: ভারতে শিল্পায়নের সাফল্য ও ব্যর্থতাগুলি আলোচনা করো।

প্রশ্ন ১৬: 1960-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে শিল্পে মন্থরতার কারণগুলি লিপিবদ্ধ করো।
অথবা,
1960-এর দশকে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির হার মন্থর হওয়ার বাহ্যিক কারণগুলি আলোচনা করো।

প্রশ্ন ১৭: ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লিখো।